একটি কিন্ডাগার্টেন ও শুভ্রা আপা
শীতের দিন। সূর্য উঠেছি কিনা বোঝা যাচ্ছে না স্কুলে ভেতর বসে। বাড়ীর ভেতর স্কুল। শিক্ষক কমন রুমে বসে আছি। আজই জয়েন করেছি এই স্কুলে। শিক্ষকের চাইতে শিক্ষকারা সংখ্যায় বেশি। নতুন হলে যেমন হয় সবাই আমাদের size up করতে চাইছেন আর আমরাও তাঁরা কেমন দেখতে চাইছলাম। আমরা দুই জন শিক্ষক ও এক জন শিক্ষিকা নতুন আজ যোগ দিলাম। কিন্ডার গার্টেন টাইপ ব্যাক্তি মালিকানাধীন স্কুল। শিক্ষকরা বেশির ভাগ স্নাতকোত্তর। কেউ কেউ এখনো অধ্যয়ণরত। আলাপ আলোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে ম্যাডমরা স্বঃস্ফূর্তভাবে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে লাগলেন।
“প্রথম টিপসটা দিয়ে দিলাম” নিতু ম্যাডাম হাসতে হাসতে বললেন, “এখানে চাকুরী করতে হলে এটা কঠিনভাবে পালন করতে হবে।”
উনার টিপস হলো, যে কোন কাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। ঘন্টা পড়ার সাথে সাথে ক্লাসে যেতে হবে।
“দ্বিতীয় টিপসটা হল...” পাশ থেকে শুভ্রাা ম্যাডাম কি যেন খাতায় লিখতে লিখতে বলে উঠলেন। আবার মাঝ পথে থেমে গেলেন “নাহ্ এখনি বলব না।”
“বলেন না ম্যাডাম” আমি নাছোড়বান্দার মত বললাম। পাশ থেকে এস. এম. ম্যাডাম বললেন, ”একদিনে সব শিখিয়ে দিলে হবে? আমরা এগুলো ছয় মাসে শিখেছি।”
“বলে ফেলেন ম্যাডাম। কী হবে বললে! আমি আর ধর্য্য রাখতে পারছি না”
শুভ্রা আপাও বোধ হয় আর নিজেকে আটকে রাখতে পারছিলেন না। বললেন, “জুনিয়র ক্লাসগুলোতে যেমন ক্লাস টুতে যখন যাবেন মুড নিয়ে যাবেন না।”
“মুড মানে”
“এই যেমন গুরু গম্ভীর মুখ। রাগী ভাবসাব এইসব...”
“তবে?”
“ওদের সাথে হাসিখুশি থাকবেন। মুড নিয়ে গেলে ওরা আপনাকে রিসিভ করবে না।”
শুভ্রা ম্যাডাম এমবিএ করছেন। উনার এই বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা, ছোটদের প্রতি আন্তরিকতায় আমি অভিভুত হয়ে গেলাম। বললাম, “আপনার কথাটা খুব ভাল লেগেছে। উপলব্ধির জায়গাটা নিখুঁত”
“থ্যাংক ইউ”
শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এতো আন্তরিকভাবে চিন্তা করতে পারেন? আমি তাঁদের ভাবনার আকাশের স্নিগ্ধতায় অবাক হয়ে রইলাম।
“প্রথম টিপসটা দিয়ে দিলাম” নিতু ম্যাডাম হাসতে হাসতে বললেন, “এখানে চাকুরী করতে হলে এটা কঠিনভাবে পালন করতে হবে।”
উনার টিপস হলো, যে কোন কাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। ঘন্টা পড়ার সাথে সাথে ক্লাসে যেতে হবে।
“দ্বিতীয় টিপসটা হল...” পাশ থেকে শুভ্রাা ম্যাডাম কি যেন খাতায় লিখতে লিখতে বলে উঠলেন। আবার মাঝ পথে থেমে গেলেন “নাহ্ এখনি বলব না।”
“বলেন না ম্যাডাম” আমি নাছোড়বান্দার মত বললাম। পাশ থেকে এস. এম. ম্যাডাম বললেন, ”একদিনে সব শিখিয়ে দিলে হবে? আমরা এগুলো ছয় মাসে শিখেছি।”
“বলে ফেলেন ম্যাডাম। কী হবে বললে! আমি আর ধর্য্য রাখতে পারছি না”
শুভ্রা আপাও বোধ হয় আর নিজেকে আটকে রাখতে পারছিলেন না। বললেন, “জুনিয়র ক্লাসগুলোতে যেমন ক্লাস টুতে যখন যাবেন মুড নিয়ে যাবেন না।”
“মুড মানে”
“এই যেমন গুরু গম্ভীর মুখ। রাগী ভাবসাব এইসব...”
“তবে?”
“ওদের সাথে হাসিখুশি থাকবেন। মুড নিয়ে গেলে ওরা আপনাকে রিসিভ করবে না।”
শুভ্রা ম্যাডাম এমবিএ করছেন। উনার এই বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা, ছোটদের প্রতি আন্তরিকতায় আমি অভিভুত হয়ে গেলাম। বললাম, “আপনার কথাটা খুব ভাল লেগেছে। উপলব্ধির জায়গাটা নিখুঁত”
“থ্যাংক ইউ”
শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এতো আন্তরিকভাবে চিন্তা করতে পারেন? আমি তাঁদের ভাবনার আকাশের স্নিগ্ধতায় অবাক হয়ে রইলাম।
Comments
Post a Comment